ঘটনার দেড় মাস পর হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার-৫


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৪, ২০২৩, ৪:১৯ অপরাহ্ন / ১৯৭
ঘটনার দেড় মাস পর হত্যার রহস্য উদঘাটন গ্রেফতার-৫

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
৯৯৯-এর ফোন কলে একটি অপহরণের সূত্র ধরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের অটোরিকশা চালক শিমুল হত্যার রহস্য দেড়মাস পরে উদঘাটন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো; মুন্সিরহাট ইউনিয়নের পেছাইমুড়ি গ্রামের সুমন মিয়ার ছেলে সায়মন (১৬), পৌর এলাকার শ্রীপুর পশ্চিম পাড়ার হারুন অর রশিদের ছেলে আবদুল মান্নান(২৪), একই গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মোঃ বাপ্পি (১৪), রামরায়গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে মোঃ রবিন (২২) ও আলমগীর হোসেনের ছেলে সৈকত(১৬)। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা।
তিনি জানান, গত ১২ আগস্ট চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে জুয়েল (১২) নামের এক কিশোর অপহরণ হয়। এঘটনায় জুয়েলের পিতা মোহন মিয়া জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। এর সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রবিন নামের এক যুবককে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপর সহযোগিদেরকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় রবিন তার সহযোগি সায়মনকে কানে কানে বলে ওই বিষয় নিয়ে পুলিশের কাছে মুখ খোলা যাবে না। তার এ কথা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক জহির উদ্দিন শুনতে পায়। তিনি বিষয়টি থানার ওসিকে অবহিত করেন। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সায়মন অটোরিকশা চালক শিমুল হত্যার বিষয়টি শিকার করে। তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারকৃত রবিনকে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে অটোরিকশা চালক শিমুলকে তার অপর সহযোগিরা সহ হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়।
ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা আরও জানান, গত ২৪ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার হায়দারপুল নামকস্থানে একটি ডোবা থেকে কিশোর অটোরিকশা চালক শিমুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বাবা সুমন মিয়া বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ক্লু-লেস এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। অপহরণের সূত্র ধরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা স্বীকার করে, তারা কিশোর অটোরিকশা চালক শিমুলকে হত্যা করেছে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা বলেন, শিমুল তাদের পূর্ব পরিচিত। ভাড়ার কথা বলে গত ২২ জুন তাকে চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে নিয়ে যাওয়া যায়। সন্ধ্যার পর তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করার চেষ্টা করা হলে শিমুল বাধা দেয়। বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করবে বলে হুমকি দেয় শিমুল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রবিন তার পেন্টের বেল্ট দিয়ে শিমুলের গলা পেছিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়।

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
.#0
#20
#
20